১১:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তাহিরপুর বর্ডার ক্রস মোটর সাইকেল বিক্রির চক্র ও মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত; অভিযোগ উঠেছে পুলিশ সদস্য ইকবালের বিরুদ্ধে

সুনামগঞ্জ তাহিরপুর ও সিলেট সীমান্ত এলাকার বর্ডার ক্রস করে আনা মোটরসাইকেল বিক্রি চক্রের সাথে ও মাদক ব্যবসায়ীদের সাথেও জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে পুলিশ কনেষ্টেবল ইকবাল হাসান(কং ৮৬১,বিপি ৯৭১৭২১৬২৪৭) এর বিরুদ্ধে।

তিনি বর্তমানে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত। তার বাড়ি সিলেট জেলার জৈন্তাপুর উপজেলার কামরাঙ্গী এলাকায় বাসিন্দা রশিদ আলীর ছেলে। তবে পুলিশ কনেষ্টেবল ইকবাল হাসান তার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

 

 

অভিযোগ উঠেছে,এই পুলিশ সদস্য শুধু বর্ডার ক্রস মোটর সাইকেল বিক্রিই নয় সীমান্ত এলাকায় মাদকসহ চোরাকারবারীদের সাথেও তার গভীর সম্পর্ক রয়েছে। সে সিলেটের সীমান্ত এলাকা হরিপুর মোটরসাইকেল চোরাকারবারি সিন্ডিকেটের একজন সক্রিয় সদস্য বলেও অভিযোগ রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে তাহিরপুর ও সিলেটের এই কাজে বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়িতে থাকায় তার এই কাজে সহযোগিতা ও মদদ দিচ্ছে স্থানীয় একজন বির্তকিত মাদক,হুন্ডি,চোরাকারবারি,ইয়াবা ব্যবসায়ী ও অস্ত্র মামলার এক আসামী। সে এই পুলিশ সদস্যকে ব্যবহার করে পুলিশ বাহিনীকে বিতর্কিত করতে কাজও করছে দীর্ঘদিন ধরে।

খোঁজ নিয়ে আরও জানা গেছে,দীর্ঘদিন ধরে বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়িতে অবস্থান করায় এই উপজেলার সীমান্ত এলাকা দিয়ে চোরাকারবারিদের সাথে আতাত করে শত শত মোটরসাইকেল ভারত(বর্ডার ক্রস মোটরসাইকেল)থেকে এনে বিক্রি করা চক্রের হাতে তুলে দিচ্ছে। এছাড়াও ঐ পুলিশ সদস্য নিজেও একটি পালসার গাড়ী ব্যবহার করছে দীর্ঘদিন ধরে যার কোনো কাগজ পত্র নেই এবং এই গাড়ীটিও বর্ডার ক্রস করে আনা গোপন সুত্রে জানা গেছে। সে এই গাড়ীটি বিক্রিও করতে চাইছে কিন্তু গাড়ীর কাগজ না থাকায় বাদাঘাট এলাকার মানুষজন কম মূল্য বলায় বিক্রি করছে না। আর পুলিশ প্রশাসনের পোশাক গায়ে থাকায় এই কাজ করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে বুক ফুলিয়ে। আর কেউই তার বিরুদ্ধে কোনো কথা বলার সাহস পায় না। কেউ কোনো কথা বললেই নানান ভাবে হুমকি দেয় বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছেন।

 

 

এই বিষয়ে পুলিশ সদস্য ইকবাল হাসান বলেন,আমি বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়িতে ১৭-১৮ মাস হলো আছি। গাড়ীটি আমার এক বন্ধুর। যে বা যারা আমার বিরুদ্ধে যাই বলছে সব মিথ্যা বানোয়াট। আমি কোনো অনিয়মের সাথে জড়িত না। তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন জানান,বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিব। আর ঐ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা সত্যি হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

Tag :
জনপ্রিয়

সুনামগঞ্জ লাউড়েরগড় সীমান্ত ভারতীয় পণ্য চোরাচালানের স্বর্গরাজ্য ; সাড়ে ৬ লাখ টাকার ফুচকা আটক

x

তাহিরপুর বর্ডার ক্রস মোটর সাইকেল বিক্রির চক্র ও মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত; অভিযোগ উঠেছে পুলিশ সদস্য ইকবালের বিরুদ্ধে

প্রকাশ : ০৬:১৫:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫

সুনামগঞ্জ তাহিরপুর ও সিলেট সীমান্ত এলাকার বর্ডার ক্রস করে আনা মোটরসাইকেল বিক্রি চক্রের সাথে ও মাদক ব্যবসায়ীদের সাথেও জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে পুলিশ কনেষ্টেবল ইকবাল হাসান(কং ৮৬১,বিপি ৯৭১৭২১৬২৪৭) এর বিরুদ্ধে।

তিনি বর্তমানে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত। তার বাড়ি সিলেট জেলার জৈন্তাপুর উপজেলার কামরাঙ্গী এলাকায় বাসিন্দা রশিদ আলীর ছেলে। তবে পুলিশ কনেষ্টেবল ইকবাল হাসান তার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

 

 

অভিযোগ উঠেছে,এই পুলিশ সদস্য শুধু বর্ডার ক্রস মোটর সাইকেল বিক্রিই নয় সীমান্ত এলাকায় মাদকসহ চোরাকারবারীদের সাথেও তার গভীর সম্পর্ক রয়েছে। সে সিলেটের সীমান্ত এলাকা হরিপুর মোটরসাইকেল চোরাকারবারি সিন্ডিকেটের একজন সক্রিয় সদস্য বলেও অভিযোগ রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে তাহিরপুর ও সিলেটের এই কাজে বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়িতে থাকায় তার এই কাজে সহযোগিতা ও মদদ দিচ্ছে স্থানীয় একজন বির্তকিত মাদক,হুন্ডি,চোরাকারবারি,ইয়াবা ব্যবসায়ী ও অস্ত্র মামলার এক আসামী। সে এই পুলিশ সদস্যকে ব্যবহার করে পুলিশ বাহিনীকে বিতর্কিত করতে কাজও করছে দীর্ঘদিন ধরে।

খোঁজ নিয়ে আরও জানা গেছে,দীর্ঘদিন ধরে বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়িতে অবস্থান করায় এই উপজেলার সীমান্ত এলাকা দিয়ে চোরাকারবারিদের সাথে আতাত করে শত শত মোটরসাইকেল ভারত(বর্ডার ক্রস মোটরসাইকেল)থেকে এনে বিক্রি করা চক্রের হাতে তুলে দিচ্ছে। এছাড়াও ঐ পুলিশ সদস্য নিজেও একটি পালসার গাড়ী ব্যবহার করছে দীর্ঘদিন ধরে যার কোনো কাগজ পত্র নেই এবং এই গাড়ীটিও বর্ডার ক্রস করে আনা গোপন সুত্রে জানা গেছে। সে এই গাড়ীটি বিক্রিও করতে চাইছে কিন্তু গাড়ীর কাগজ না থাকায় বাদাঘাট এলাকার মানুষজন কম মূল্য বলায় বিক্রি করছে না। আর পুলিশ প্রশাসনের পোশাক গায়ে থাকায় এই কাজ করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে বুক ফুলিয়ে। আর কেউই তার বিরুদ্ধে কোনো কথা বলার সাহস পায় না। কেউ কোনো কথা বললেই নানান ভাবে হুমকি দেয় বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছেন।

 

 

এই বিষয়ে পুলিশ সদস্য ইকবাল হাসান বলেন,আমি বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়িতে ১৭-১৮ মাস হলো আছি। গাড়ীটি আমার এক বন্ধুর। যে বা যারা আমার বিরুদ্ধে যাই বলছে সব মিথ্যা বানোয়াট। আমি কোনো অনিয়মের সাথে জড়িত না। তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন জানান,বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিব। আর ঐ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা সত্যি হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।