
সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলা সীমান্তের চাঁদপুর ও লাউড়েরগড় সীমান্ত এলাকা এখন ভারতীয় ফুচকা, চিনি, জিরাসহ মসলা ও বিভিন্ন প্রকার কসমেটিক সামগ্রী চোরাচালানের স্বর্গরাজ্য ও নিরাপদ রোড। জানাযায়, চাঁদপুর সীমান্তের বারিক্কার টিলা, রাজাই ও লাউড়েরগড় সীমান্তের যাদুকাটা নদী, শাহিদাবাদ, বর্ডার হাট, শাহ আরেফিন মোকাম, দশঘর বাউল্লা হাটি সীমান্ত এলাকা দিয়ে চোরাই পথে ভারত থেকে অবাধেই নিয়ে আসছে স্থানীয় কয়েকটি চোরাকারবারি সিন্ডিকেট চক্র। খবর পেয়ে গতকাল ২৩ এপ্রিল বুধবার সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া ও সুনামগঞ্জ-২৮ ব্যাটালিয়ন বিজিবি অধিনায়ক লে কর্ণেল এ কে এম জাকারিয়া কাদির এর নির্দেশনায় সুনামগঞ্জ-২৮ ব্যাটালিয়ন বিজিবির সহকারী পরিচালক মো: রফিকুল ইসলাম ও তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আবুল হাসেম এর নেতৃত্বে টাস্কফোর্স অভিযান চালায় লাউড়েরগড় বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকা বাঁধাঘাট ইউনিয়নের বিন্নাকুলী এবং মদেরগাঁও গ্রামে ।
এসময় টাস্কফোর্স অভিযান চালিয়ে মোদেরগাঁও গ্রামের সোবান সর্দারে বাড়ী ও বিন্নাকুলি একটি পরিত্যাক্ত গুদাম ঘরে তল্লাশী করে রাতের আধাঁরে চোরাই পথে ভারত থেকে নিয়ে আসা ১৭৬৫০ কেজি ভারতীয় ফুসকা ও ৬০ কেজি জিরা উদ্ধার করে। যার আনুমানিক মূল্য ৪৪ লক্ষ,৫৪ হাজার,৫শত টাকা। তবে এসময় কোন চোরাকারবারিকেই আটক করতে পারেনি অভিযানে থাকা টাস্কফোর্স দলটি। এ সময় অভিযানে সুনামগঞ্জ-২৮ ব্যাটালিয়ন বিজিবির ২৮ জন বিজিবি সদস্য , তাহিরপুর থানা পুলিশের ৫ জন পুলিশ ও একজন আনসার টাস্কফোর্সের অভিযানে অংশগ্রহণ করে।
ব্যাপারে অধিনায়ক, সুনামগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (২৮ বিজিবি) এ কে এম জাকারিয়া কাদির বলেন, উর্ধ্বতন সদর দপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষা, চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবির আভিযানিক কার্যক্রম ও গোয়েন্দা তৎপরতা সর্বোতভাবে অব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় উক্ত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় ফুসকা ও জিরা জব্দ করা হয়। আটককৃত ফুসকা ও জিরা শুল্ক কার্যালয়, সুনামগঞ্জে জমা করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।