ভোলার চরফ্যাশনে স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহ্বায়ক ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক পরিষদের সভাপতি হুমাযুন কবির রাজনের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন দুই সন্তানের এক জননী। ওই নারীর দাবি, রাজন তাকে বিয়ে করেছেন। তার পরামর্শে আগের স্বামীকে তালাকও দিয়েছেন। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে আলোচনা-সমালোচনার।
সোমবার বিকাল ৫টার দিকে চরফ্যাশন পৌরসভা ৪ নাম্বার ওয়ার্ডের মাস্টার মহল্লার রাজনের বাড়িতে অবস্থান নেন খাইরুন নেছা পুষ্প (৩০) নামের ওই নারী। তিনি ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার কুতবা ইউনিয়নের আবদুল খালেকের মেয়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১০ বছর আগে চরফ্যাশন উপজেলার আবুবকরপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা কাশেম মিঝির ছেলে মো. আমানের সঙ্গে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয় ওই তরুণীর। আমান পুষ্প দম্পত্তির এক ছেলে ও এক মেয়েসহ সুখের সংসার ছিল তাদের।
পুষ্প বলেন, রাজন তার স্বামীর ফুফাতো বোনের স্বামী। ২০২৩ সালে রাজনের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। পরিচয়ের সূত্র ধরে প্রায় তাদের বাড়িতে যাতায়াত করতেন রাজন। পুষ্পের সঙ্গে ফেসবুকে মাঝে মধ্যে কথা হতো তার। তার সাংসারিক বিভিন্ন বিষয় শেয়ারও করতো রাজন। একটা সময় তার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরে পরকীয়া প্রেমে জড়ান তারা।
পুষ্পর ভাষ্যমতে, গত বছরের জানুয়ারিতে তাকে চট্টগ্রাম নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব করেন রাজন এবং সেখানে নিয়ে বিয়ের আশ্বাসও দেন। সেই মোতাবেক চট্টগ্রামের বাইজিদ থানার পাহাড়িকা আবাসিক এলাকায় স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে তারা একটি বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন। কিছুদিন থাকার পর তার স্বামী আমানকে তালাক দেওয়ার পরামর্শ করেন তারা। রাজনের পরামর্শে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে স্বামী আমানকে তালাকও দেন পুষ্প। একই বছর জুলাই মাসে ইসলামি শরিয়াহ মোতাবেক বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তারা। বিয়ের কিছুদিন পরই গর্ভবতী হন পুষ্প।
দুই সন্তানের জননী ঐ তরুণী আরও জানান, সুখেই চলছিল তাদের সংসার জীবন। এরই মধ্যে গর্ভবতী হয় তরুণী তাতেও কোন সমস্যা ছিল না। বিপত্তি বাঁধে গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরই রাজন আত্মগোপন চলে যান।
এতে রাজন তরুণীর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। আত্মগোপনে থাকা রাজন রাজনৈতিক সমস্যা দেখিয়ে পুষ্পের অনাগত গর্ভের সন্তান নষ্টের পরামর্শ দেন এবং তা নষ্ট করান। এরপর পুরোপুরি যোগাযোগ বন্ধ করে দেন রাজন। এতে স্বামীর স্বীকৃতির দাবিতে সোমবার বিকেলে শিক্ষক রাজনের বাসায় অবস্থান নেন তিনি।
অভিযোগের বিষয়ে আত্মগোপন থাকা হুমায়ুন কবির রাজন মুঠোফোনে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আজকের এ পরিস্থিতির জন্য আমার স্ত্রী দায়ী। তার আত্মীয়তার সূত্র ধরেই এ মেয়ের সঙ্গে পরিচয় হয়। মেয়েটার চরিত্র ভালো না। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে।’
এ বিষয়ে চরফ্যাশন থানার ওসি মিজানুর রহমান হাওলাদার বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রকাশক : আরিফ হাসান, সম্পাদক: এস এম নুরুজ্জামান, ( ‘স্ব’ শিক্ষা মানব সেবা ফাউন্ডেশনের একটি প্রতিষ্ঠান ), বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পৌর বিপনী (৩য় তলা), মানিকগঞ্জ। নিউজ রুম: 01975-599 708, বিজ্ঞাপন- 01785-599 707, ই-মেইল : news.dainiksottersondhane@gmail.com
Copyright © 2025 দৈনিক সত্যের সন্ধানে. All rights reserved.