
ইস্ট বেঙ্গল সীট কম্পনির আনন্দ বীজে এবছর আনন্দ নামে তরমুজ ৬৫দিনে তিনগুণ লাভে বিক্রি করতে পেরে গাছিরখাল এলাকার মাঝের চরের কৃষক রহিম মীরের মুখে আট্রোহাসি ফুটছে। কৃষকের এই সফলতাকে মূল্যয়ন করতে ইস্ট বেঙ্গল কম্পানির পক্ষ থেকে কৃষক মাঠ দিবসে করে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের পুরুস্কার দেয়া হয়।
রমজানের শুরুতে রসালো এ ফল বাজার এবং খেতে বসে পাইকারদের কাছে বেশি দামে বিক্রি করতে পেরে খুশিতে কৃষক রহিম মীর আমাদের কালের কন্ঠ প্রতিনিধি কামরুল সিকদারকে বলেন, কথানুযায়ী ইস্ট বেঙ্গল সীট কম্পানির আনন্দ বীজে ৬৫দিনে আনন্দ তরমুজ পেকেছে। তরমুজের সাইজ ১৪/১৫ কেজি এবং রং কালারে বাজার কিংবা পাইকারেরা বেশি দামেও কিনছে।
মাজের চরের কৃষক রহিম মীর বলেন, আমার জীবনে প্রথম ১একর জমিতে এই কম্পানির বীজে তরমুজ চাষ করেছি। মাত্র প্রায় লক্ষাধিক টাকা খরচ করে প্রায় সাড়ে ৩লাখ টাকা তরমুজ বিক্রি করেছি। আমি আগামীতে এই কম্পানির বীজ দিয়ে আরো ৩গুণ জমিতে তরমুজ চাষ করব।
আবহাওয়া অনুকূলে অন্যান্য কম্পানির বীজের যেমন গ্রেড ওয়ান, আনন্দ,থাইসহ বিভিন্ন জাতের খেতভরা তরমুজের বাম্পার ফলন দেখে কৃষকের আনন্দে ভাসছে।
গাছির খাল এলাকার মাজের চরের কৃষক নুরনবী মীর বলেন-আমি ১০কানি জমিতে এবছর ইস্ট বেঙ্গল কম্পানির আনন্দ বীজে তরমুজ চাষ করেছি, এতে খরচ পড়েছে প্রায় ২০লাখ টাকা, আবহাওয়া ভাল থাকলে ইনসাল্লাহ প্রায় ৪০লাখ টাকার মত এই আনন্দ তরমুজ বিক্রি করতে পারব।
এছাড়াও আহাম্মদপুর ইউনিয়নের তরমুজ চাষী আলাউদ্দিন বলেন, আমি সাড়ে ৪ একর জমি এবছর তরমুজ চাষ করেছি। ৩ থেকে সাড়ে ৩লাখ টাকা খরচ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকে আশাকরি ১০/১১লাখ টাকা বিক্রি নামবে। নুরাবাদ কৃষক সালাম বলে, প্রায় ৩লাখ টাকা ব্যয় করে তরমুজ চাষ করেছি। বিক্রি নামবে ৮/৯লাখ টাকা। ফলনের সাইজ ১৫/১৬ কেজি।
ক্রেতা ইউনুছ তালুকদার, সেলিম হাওলাদার, নাঈম বলেন, শুরুত্বে একটু বেশি দামে তরমুজ ক্রয় করতে হয়েছে। আশা করি এরপর আর কমদামে কিনতে পারব।
ইস্ট বেঙ্গল সীট কম্পানি আনন্দ বীজ মাকেটিং অফিসার মহিউদ্দিন বলেন, আনন্দ বীজে রোপনের তরমুজ ৬৫দিনে পেকে যায়, রং কালার সাইজে বাজারে এই তরমুজের চাহিদা বেশি থাকে তাই কম্পানির পক্ষ থেকে হাইব্রিড তরমুজ চাষীদের মাঠ দিবসের মাধ্যমে পুরুস্কৃত করা হয়।
নুরাবাদ উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা কামরুজ্জামান স্বপন বলেন, সুপার ও গ্রেড ওয়ানসহ বিভিন্ন হাইব্রিড জাতের বীজ বপন করে অল্প সময়ের মধ্যে তরমুজ গ্রেড হয়েছে। যার ফলে তারা ভালদাম পেতে শুরু করেছে।
চরফ্যাশন উপজেলা কৃষি অফিসার নাজমুল হুদা বলেন, ভোলার জেলার মধ্যে তরমুজ চাষের জন্য উপযোগি জায়গা হলো চরফ্যাশনের চরাঞ্চলগুলোতে। এই উপজেলা লক্ষমাত্র ছিল ১০হাজার ৪০ হেক্টর। লক্ষমাত্র ছাড়িয়ে ১০হাজার ৭৮০ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছে। উপসহকারীদের সার্বিক তদারকিতে বাম্পার ফলন হয়েছে।