১০:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গরু-বাছুরের পা- ভাঙ্গাকে কেন্দ্র করে শশীভূষণে রাতের আধারে পথোরুদ্ধ করে কৃষককে মারধর

সকালে গরুবাচুরের পা ভাঙ্গাকে ইস্যু করে রাতের আধারে কৃষক ছালাউদ্দিন(৪৫)কে ব্যাপক মারধর করে মেরে ফেলার জন্য পরিত্যক্ত বাগানে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল রবিবার রাত সাড়ে ৯টায় শশীভ’ষণ থানার এওয়াজপুর ইউনিয়নের ৬নম্বার ওয়ার্ডে মালেক মাওলানা মাদ্রাসার পূর্বপাশে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
হাসপাতালের আহত ও স্বজনরা জানান, ছালাউদ্দিন বাজার থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে সবুজ, শরীফ ও রাকিব পথোরুদ্ধ করে তাকে এলোপাথারী মারধর করে পরিত্যক্ত বাগানে নিয়ে যায়। তার ডাক চিৎকারে স্ত্রী হালিমা বেগম দৌড়ায়ে আসলে তাকেও ব্যাপক মারধর করে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীরা এসে আহতদেরকে উদ্ধার করে চরফ্যাশন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা প্রদান করেন।

 

 

হাসপাতালের বেডে আহত ছালাউদ্দিন কথা বলতে না পারলেও তার স্ত্রী বলেন, সবুজ ,শরীফ ও মরিয়াম বেগম এলাকা জোড়-জুলম করে এলাকা বিভিন্ন আপরাধ কর্মকান্ড করে বেড়ায়। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমার স্বামীকে এভাবে রাতের আধারে পাইপ এবং লাঠি দিয়ে এলোপাথারী মারধর করে বাগানে মধ্যে নিয়ে মেরে ফেলার জন্য পা দিয়ে ছটছে। তার ডাক চিৎকারে আমি দৌড়িয়ে আসলে সবুজ আমাকে পাইপ দিয়ে এলোপাথারী মারধর করে। আমি মাঠিতে লুঠিয়ে পড়লে সবুজ ও শরীফ ছটকিয়ে পড়ে।
হালিমা আরো জানান, তাদের সাথে পূর্বের আমাদের বিরোধ,তারা করো বিচার শালিস মানে না। আহতের চাচা বৃদ্ধ সিরাজ বলেন-সকালে জালের সাথে গরু বাচুরের পা আটকিয়ে ভেঙ্গে যায়। সবুজ ও শরীফ ও রাকিব পূর্বের শত্রুতা উদ্ধার করতে বলছে আমাদের গরু বাচুরের পা ভাঙ্গছে আমরা ছালাউদ্দিনার পা ভেঙ্গে দিব। এই হুমকির ছালাউদ্দিন রাতে সাড়ে ৯টার সময় শশীভুষণ বাজার থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে সবুজ ও শরীফ ও রাকিব তাকে এলোপাথারী মারধরে করে,বাগানেরর মধ্যে নিয়ে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়। ভাগ্যের পরিহাস ছালাউদ্দিনের ডাক চিৎকারে তার স্ত্রী হালিমা বেগমসহ পাশবর্তী মানুষ ছুটে আসলে তারা পালিয়ে যায়। এসকল সন্ত্রাসীরা চরাঞ্চলে ডাকাতি করে। আমরা পুলিশ প্রশাসনের কাছে তাদের কঠোর বিচারের দাবী করছি।

 

 

আহতের মা বিবি খাদিজা বেগম বলেন, বাবারে সবুজ ও শরীফ এবং রাকিব কাউকে মানে না। তাদের অত্যাচার থেকে বাচতে চাই। আমার ছেলে ডাক চিৎকার না দিতে পারলেও তারা মেরে বাগানে রেখে যেত। আমরা তো বলতে পারতাম না কারা মারছে। আমি এদের কঠোর বিচার চাই।

Tag :
জনপ্রিয়

দেশ বরেণ্য চিত্রশিল্পীদের স্মরণে খুলনা আর্ট একাডেমি ২১টি মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে বিশেষ দিন পালন

গরু-বাছুরের পা- ভাঙ্গাকে কেন্দ্র করে শশীভূষণে রাতের আধারে পথোরুদ্ধ করে কৃষককে মারধর

প্রকাশ : ০৫:৫৬:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫

সকালে গরুবাচুরের পা ভাঙ্গাকে ইস্যু করে রাতের আধারে কৃষক ছালাউদ্দিন(৪৫)কে ব্যাপক মারধর করে মেরে ফেলার জন্য পরিত্যক্ত বাগানে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল রবিবার রাত সাড়ে ৯টায় শশীভ’ষণ থানার এওয়াজপুর ইউনিয়নের ৬নম্বার ওয়ার্ডে মালেক মাওলানা মাদ্রাসার পূর্বপাশে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
হাসপাতালের আহত ও স্বজনরা জানান, ছালাউদ্দিন বাজার থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে সবুজ, শরীফ ও রাকিব পথোরুদ্ধ করে তাকে এলোপাথারী মারধর করে পরিত্যক্ত বাগানে নিয়ে যায়। তার ডাক চিৎকারে স্ত্রী হালিমা বেগম দৌড়ায়ে আসলে তাকেও ব্যাপক মারধর করে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীরা এসে আহতদেরকে উদ্ধার করে চরফ্যাশন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা প্রদান করেন।

 

 

হাসপাতালের বেডে আহত ছালাউদ্দিন কথা বলতে না পারলেও তার স্ত্রী বলেন, সবুজ ,শরীফ ও মরিয়াম বেগম এলাকা জোড়-জুলম করে এলাকা বিভিন্ন আপরাধ কর্মকান্ড করে বেড়ায়। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমার স্বামীকে এভাবে রাতের আধারে পাইপ এবং লাঠি দিয়ে এলোপাথারী মারধর করে বাগানে মধ্যে নিয়ে মেরে ফেলার জন্য পা দিয়ে ছটছে। তার ডাক চিৎকারে আমি দৌড়িয়ে আসলে সবুজ আমাকে পাইপ দিয়ে এলোপাথারী মারধর করে। আমি মাঠিতে লুঠিয়ে পড়লে সবুজ ও শরীফ ছটকিয়ে পড়ে।
হালিমা আরো জানান, তাদের সাথে পূর্বের আমাদের বিরোধ,তারা করো বিচার শালিস মানে না। আহতের চাচা বৃদ্ধ সিরাজ বলেন-সকালে জালের সাথে গরু বাচুরের পা আটকিয়ে ভেঙ্গে যায়। সবুজ ও শরীফ ও রাকিব পূর্বের শত্রুতা উদ্ধার করতে বলছে আমাদের গরু বাচুরের পা ভাঙ্গছে আমরা ছালাউদ্দিনার পা ভেঙ্গে দিব। এই হুমকির ছালাউদ্দিন রাতে সাড়ে ৯টার সময় শশীভুষণ বাজার থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে সবুজ ও শরীফ ও রাকিব তাকে এলোপাথারী মারধরে করে,বাগানেরর মধ্যে নিয়ে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়। ভাগ্যের পরিহাস ছালাউদ্দিনের ডাক চিৎকারে তার স্ত্রী হালিমা বেগমসহ পাশবর্তী মানুষ ছুটে আসলে তারা পালিয়ে যায়। এসকল সন্ত্রাসীরা চরাঞ্চলে ডাকাতি করে। আমরা পুলিশ প্রশাসনের কাছে তাদের কঠোর বিচারের দাবী করছি।

 

 

আহতের মা বিবি খাদিজা বেগম বলেন, বাবারে সবুজ ও শরীফ এবং রাকিব কাউকে মানে না। তাদের অত্যাচার থেকে বাচতে চাই। আমার ছেলে ডাক চিৎকার না দিতে পারলেও তারা মেরে বাগানে রেখে যেত। আমরা তো বলতে পারতাম না কারা মারছে। আমি এদের কঠোর বিচার চাই।