০২:২৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আমরুজা মেম্বারের অত্যাচার, মামলা থেকে বাঁচতে মনপুরা সাকুচিয়া এলাকাবাসীর সংবাদ সম্মেলন

ইউপি সদস্য এবং আ’লীগের ক্ষমতার সময় ক্ষমতার দাপুটে আমরুজা মেম্বার এলাকার নিরীহ মানুষের উপর অত্যাচার নির্যাতন এবং জোড়-জুলম করাই ছিল তার কাজ। ওই সময় লালিত বাহিনীর মাধ্যমে ভুয়া জমির কাগজপত্র তৈরি করে অন্যের দলিলি জমি ভোগ দখল এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি কারাই ছিল তার কাজ।
ভোক্তাভোগী নিরীহ অসহায় মানুষ তার বাহিনী এবং মামলার ভয়ে ওই সময় তার বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস পায়নি। ৫আগস্টের পর জোড়পুর্বক জমি এবং তার দেয়া মামলা থেকে রক্ষা পেতে এলাকাবাসী গত বৃহস্পতিবার সাকুচিয়া গ্রামে তার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ তুলে ধরেন।

 

ভোক্তাভোগী,বাহাউদ্দিন,আলমগীর,আঃ মন্নান, হেলালউদ্দিন,আঃ কাদের,ঈমাম সিদ্দিকুল্লা ও বৃদ্ধ আবুল কাশেম বলেন-দীর্ঘ ৭০বছর ৩একর জমির উপর বাড়িঘর নির্মাণ করে ভোগ দখল করে আসিতেছি। আমরুজা মেম্বার আমার পৈত্তিক সম্পত্তির উপরে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি মামলা করে হয়রানি করছে। মামলা হাজিরা দিতে দিতে সর্বস্থ হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছি। এখন তার মিথ্যা আত্যাচার এবং মিথ্যা মামলা থেকে বাচতে প্রশাসনের হস্তেক্ষেপ কামনা করছি।তার হাতে থেকে রক্ষা পায়নি মসজিদ ঈমাম ও মুসল্লিরা।
বর্তমান সময়ে তার জনৈক সন্তান সেনাবাহিনীতে চাকুরী করায় তার ক্ষমতার প্রভাবে এখন ভয়ভিতি দেখিয়ে মানুষের জমি এবং বাজার ভিটি দখল করে রাখে। প্রশ্ন হলো আ’লীগ সরকারের আমলে জমি এবং বাজার ভিটে দখল করলে এখন কেন সেগুলো উদ্ধার করতে পারছে না। ভোক্তাভোগীরা বলেন-এলাকার অসহায় একাধিক মানুষের নামে আদালতে মামলা দিয়ে ভোগাচ্ছে। গ্রামের সহজ-সরল মানুষ মামলার ভয়ে তাদের ভোগদখলীয় জমিতে যেতে না পেরে কষ্টে দুখে জীবন-যাপন করছেন বলে একাধিক অসহায় মানুষ চরফ্যাশন টিভিকে জানান। গ্রামের এসকল অসহায় মানুষগুলো আমরুজা মেম্বারে হয়রানিতে থেকে পরিত্রাণ পেতে সংবাদকর্মীদের মাধ্যমে এলাকার গন্যমান্য এবং প্রশাসনের হস্তেক্ষেপ কামনা করছেন।

 

 

এব্যাপারে অভিযুক্ত সাবেক সংরক্ষিত আসনের ইউপি মেম্বার আমরুজা বেগম বলেন- যারা অভিযোগ করেছে তারা আমার জমি দখল করায় আমি জমি উদ্ধার করতে তাদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছি। পারিবারিক খোজ নিয়ে জানা গেছে, চতুর্থ শ্রেণীর পাশ মানে দুর্গম চরের সহজ-সরল মানুষের কাছে শিক্ষিতা মহিলা হিসেবে মোরল তিনি। খোজ নিয়ে জানা গেছে, ওই দুর্গম চরে তার পরিবারের লোকজনই মোটামুটি শিক্ষিত বাকিরা নদীতে মাছ ধরে খেতে খামারে কাজ করাই তাদের পেশা। যার ফলে তিনি যা বলেন তাই হতো হয় ওই গ্রামে।

Tag :
জনপ্রিয়

সুনামগঞ্জ লাউড়েরগড় সীমান্ত ভারতীয় পণ্য চোরাচালানের স্বর্গরাজ্য ; সাড়ে ৬ লাখ টাকার ফুচকা আটক

x

আমরুজা মেম্বারের অত্যাচার, মামলা থেকে বাঁচতে মনপুরা সাকুচিয়া এলাকাবাসীর সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশ : ০৫:০৪:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫

ইউপি সদস্য এবং আ’লীগের ক্ষমতার সময় ক্ষমতার দাপুটে আমরুজা মেম্বার এলাকার নিরীহ মানুষের উপর অত্যাচার নির্যাতন এবং জোড়-জুলম করাই ছিল তার কাজ। ওই সময় লালিত বাহিনীর মাধ্যমে ভুয়া জমির কাগজপত্র তৈরি করে অন্যের দলিলি জমি ভোগ দখল এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি কারাই ছিল তার কাজ।
ভোক্তাভোগী নিরীহ অসহায় মানুষ তার বাহিনী এবং মামলার ভয়ে ওই সময় তার বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস পায়নি। ৫আগস্টের পর জোড়পুর্বক জমি এবং তার দেয়া মামলা থেকে রক্ষা পেতে এলাকাবাসী গত বৃহস্পতিবার সাকুচিয়া গ্রামে তার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ তুলে ধরেন।

 

ভোক্তাভোগী,বাহাউদ্দিন,আলমগীর,আঃ মন্নান, হেলালউদ্দিন,আঃ কাদের,ঈমাম সিদ্দিকুল্লা ও বৃদ্ধ আবুল কাশেম বলেন-দীর্ঘ ৭০বছর ৩একর জমির উপর বাড়িঘর নির্মাণ করে ভোগ দখল করে আসিতেছি। আমরুজা মেম্বার আমার পৈত্তিক সম্পত্তির উপরে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি মামলা করে হয়রানি করছে। মামলা হাজিরা দিতে দিতে সর্বস্থ হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছি। এখন তার মিথ্যা আত্যাচার এবং মিথ্যা মামলা থেকে বাচতে প্রশাসনের হস্তেক্ষেপ কামনা করছি।তার হাতে থেকে রক্ষা পায়নি মসজিদ ঈমাম ও মুসল্লিরা।
বর্তমান সময়ে তার জনৈক সন্তান সেনাবাহিনীতে চাকুরী করায় তার ক্ষমতার প্রভাবে এখন ভয়ভিতি দেখিয়ে মানুষের জমি এবং বাজার ভিটি দখল করে রাখে। প্রশ্ন হলো আ’লীগ সরকারের আমলে জমি এবং বাজার ভিটে দখল করলে এখন কেন সেগুলো উদ্ধার করতে পারছে না। ভোক্তাভোগীরা বলেন-এলাকার অসহায় একাধিক মানুষের নামে আদালতে মামলা দিয়ে ভোগাচ্ছে। গ্রামের সহজ-সরল মানুষ মামলার ভয়ে তাদের ভোগদখলীয় জমিতে যেতে না পেরে কষ্টে দুখে জীবন-যাপন করছেন বলে একাধিক অসহায় মানুষ চরফ্যাশন টিভিকে জানান। গ্রামের এসকল অসহায় মানুষগুলো আমরুজা মেম্বারে হয়রানিতে থেকে পরিত্রাণ পেতে সংবাদকর্মীদের মাধ্যমে এলাকার গন্যমান্য এবং প্রশাসনের হস্তেক্ষেপ কামনা করছেন।

 

 

এব্যাপারে অভিযুক্ত সাবেক সংরক্ষিত আসনের ইউপি মেম্বার আমরুজা বেগম বলেন- যারা অভিযোগ করেছে তারা আমার জমি দখল করায় আমি জমি উদ্ধার করতে তাদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছি। পারিবারিক খোজ নিয়ে জানা গেছে, চতুর্থ শ্রেণীর পাশ মানে দুর্গম চরের সহজ-সরল মানুষের কাছে শিক্ষিতা মহিলা হিসেবে মোরল তিনি। খোজ নিয়ে জানা গেছে, ওই দুর্গম চরে তার পরিবারের লোকজনই মোটামুটি শিক্ষিত বাকিরা নদীতে মাছ ধরে খেতে খামারে কাজ করাই তাদের পেশা। যার ফলে তিনি যা বলেন তাই হতো হয় ওই গ্রামে।